পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র)যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও যেটা চাচ্ছেন। আমাদের অঙ্গীকার সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করা। এটাকেই তারা সমর্থন দিয়েছে। সুতরাং চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।’
আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই এ দেশের গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক মন্তব্য করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এ দেশে গেল ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আছে বলেই একটি গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া চলছে। হাজার হাজার নির্বাচন হচ্ছে এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার এসেছে। কিন্তু ২০০৮ সালের আগে যদি দেখেন, যারা ভোটারবিহীন নির্বাচনে জয়লাভ করেছে, তাদের কিন্তু এদেশের মানুষ গদিতে রাখেনি, কয়েকদিন পর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময়ই জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখে, জনগণের ভোটের মাধ্যমেই তারা ক্ষমতায় আসতে চায়।’
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বদ্ধপরিকর। এ জন্য যত ধরনের প্রক্রিয়া দরকার, তা করা হচ্ছে। যাতে কারচুপির ভোট না হয়, সে জন্য ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে। কেউ কেউ রাতের অন্ধকারে ভোটের কথা বলছে, সে কারণে আমরা স্বচ্ছ ব্যালটবক্স করেছি। আমরা একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না: ইসি আলমগীর
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখে এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকারে আসতে চায়। আমরা গণতান্ত্রিক সরকার চাই। আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন করে যাব। জ্বালাও-পোড়াও চাই না। আমেরিকা যে নীতি করেছে এতে করে জ্বালাও-পোড়াও দলরা একটু সচেতন হবে। জ্বালাও-পোড়াও ও রাস্তা দখল করে আন্দোলন, এটা কমবে।
তিনি বলেন, ‘দুষ্টু লোকরা দেখেন না জ্বালাও-পোড়াও করে। সম্প্রতি পুলিশকে পিটিয়েছে, বাস জ্বালিয়েছে, এখন তারা একটু সাবধান হবে। আমেরিকা বলেছে, তাদের যে নীতি সরকারি দল বা অন্যদের জন্য যেমন তেমনি অপজিশনের জন্যও। তাদের ওপরও বর্তাবে। তারা ইনশাআল্লাহ সাবধান হবে।’