![](http://dainik.banglabandhu.com/wp-content/uploads/2024/02/download-4-1.jpg)
মিয়ানমারের অভ্য ন্তরীণ সংঘাতে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুপ্রবেশের ঘটনার মধ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধৈর্য ধারণ করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিরোধী দলীয় চিফ হুইপের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মিয়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সীমান্তের এপারে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার বিষয়টি সংসদকে অবহিত করেন। এদিন বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। খবর বিডিনিউজের।
মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধের মধ্যে গতকাল সকাল পর্যন্ত গত দুদিনে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন ৯৫ জন সশস্ত্র বিজিপি সদস্য। বিকালের অধিবেশনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু প্রশ্ন রাখেন, মিয়ানমারে সংঘাতের মধ্যে সাধারণ মানুষ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। গোলাগুলি হচ্ছে। সে গুলি এসে বাংলাদেশে পড়ছে। এ অবস্থায় সীমান্তে নিরাপত্তার প্রশ্নে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা প্রশ্নে সরকার থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে প্রশ্নোত্তরে অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে। আজকেও ওখানকার সীমান্তরক্ষী বাহিনী অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে কিছু আহতও রয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, একটা স্কুলে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং আমরা সে আলোচনা করার জন্য তাদেরকে ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায় অন্যান্য ব্যবস্থা কী করা যায় সেটাও হবে।
সার্বিক বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেটা নির্দেশ দিয়েছেন সেটা হচ্ছে আমাদের যে সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারা মিলিটারি বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডারে স্কুল বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মর্টার শেলে আমাদের একজন ও ওদের একজন মারা গেছে–এটাও সঠিক। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদে আরেক প্রশ্নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময়ে বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। মামলাটি কঠিন হওয়ায় তদন্তকারী সংস্থা সঠিকভাবে তদন্ত করে এ মামলার সুরাহা করবে।
এদিকে চট্টগ্রাম–১১ আসনের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছে।