খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলছে বাংলাদেশ । টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কথা বলছে। এই অগ্রযাত্রায় দরকার গ্রামীণ জনজীবনের অর্থনৈতিক উন্নতি, দরকার খাদ্য নিরাপত্তাসহ কৃষকের উন্নতি ও কৃষির উন্নতি। এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারলেই আমাদের আগামীর অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী রাখা যাবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু অনুধাবন করেননি, নীতি-নির্ধারণীর মাধ্যমে আপামর জনসাধারণকে নির্দেশ দিয়েও বসে থাকেননি। তিনি নিজে চ্যালেঞ্জটি নিয়েছেন, সরকারি বাসভবন গণভবনের ভেতরের জায়গাকে কৃষিকাজে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
দেশের কোন অঞ্চলে কোন ধরনের ফসল ফলানোর উপায় কি বা কেমন- তা হাতে কলমে দেখার তাগিদ অনুধাবন করেছেন। আজকের দিনে গোটা পৃথিবীর কাছে খাদ্য নিরাপত্তার যে চ্যালেঞ্জ তা মাথায় রেখে দেশের জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্য-ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়াটি গবেষণার মতো করে দেখে তা মানুষের কল্যাণে পৌছে দিতে চাইছেন। এজন্য একজন সরকার প্রধান হয়েও কৃষি অনুশীলনে নেমেছেন। মাটি ও ফসলের সংস্পর্শে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
বিষয়টি তুলে ধরতে চ্যানেল আই’র পরিচালক, কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজকে সম্প্রতি এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকার ও প্রামাণ্যচিত্র ধারণের সুযোগ দিয়েছেন। ‘শেখ হাসিনার ফসলি উঠোন: গণভবনে বাংলার মুখ’ শীর্ষক প্রামাণ্য প্রতিবেদনটি আগামী শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হবে চ্যানেল আই’র ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে।
শাইখ সিরাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবার কাছেই কৃষির হাতেখড়ি। তিনিই আমাদের সব ভাইবোনকে কৃষি অনুশীলনের সুযোগ করে দিতেন। পরবর্তীতে দেশের রাজনীতির সঙ্গে যখন সরাসরি সম্পৃক্ত হলাম তখনও গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ নিয়ে কাজ করেছি, দেখেছি তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা। আমাদের দেশের অর্থনীতির ভিত্তিই তো কৃষির ওপরে। অন্যদিকে জনসংখ্যাও বেশি। সেটা বিচার করে কৃষির ওপর জোর দিতেই হয় সবসময়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জমি এত উর্বর, একটু চেষ্টা করলেই আমরা আমাদের উৎপাদন আরো বাড়াতে পারি।’
অনুষ্ঠান সম্পর্কে জনাব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বহুমুখি কৃষি উৎপাদনের যে দৃষ্টান্ত গড়েছেন তা দেশের মানুষের জন্য শিক্ষণীয়। তাকে দেখে দেশের মানুষ আরো অনেক বেশি আগ্রহী ও উৎসাহিত হবে কৃষিতে। প্রধানমন্ত্রীর এই কৃষিমুখি কর্মযজ্ঞ প্রমাণ করে, বঙ্গবন্ধু কন্যার কৃষিপ্রেমই গত পনেরো বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও আগামীর স্বপ্ন পূরণের সবচেয়ে বড় নিয়ামক। এই সময়ে এই ধরনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে পারা আমার উন্নয়ন সাংবাদিকতার জীবনেও একটি বড় মাইলফলক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর সাংবাদিকতায় আমার চারদশক পূর্ণ হল। একইসঙ্গে চ্যানেল আইতেও হৃদয়ে মাটি ও মানুষ এবার দু’দশকে পদার্পণ করছে। সবমিলে এমন একটি সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের বিস্তীর্ণ কৃষিক্ষেত্রটি জনমানুষের সামনে তুলে ধরতে পারছি। সত্যিই আমি আনন্দিত।’