একইসঙ্গে ১৮ পদে ১৬ জন পদত্যাগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রক্টরসহ । আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
পদত্যাগকারী ১৬ জনই ব্যাক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে লিখিত পত্রে উল্লেখ করেছেন। ১৮ পদের মধ্যে একটি প্রক্টরের, পাঁচটি সহকারী প্রক্টরের, ১১টি বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ ও হাউজ টিউটর পদ ও একটি আইকিএসির অতিরিক্ত পরিচালক পদ।
পদত্যাগকারীরা হলেন- প্রক্টর অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, সহকারী প্রক্টর এস এম জিয়াউল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, রামেন্দু পারিয়াল, শাহরিয়ার বুলবুল, গোলাম কুদ্দুস লাভলু, শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, শাহজালাল হলের হাউজ টিউটর শাহরিয়ার বুলবুল, এ এফ রহমান হলের হাউজ টিউটর আনাবিল ইহসান, প্রীতিলতা হলের হাউজ টিউটর ফারজানা আফরিন, শহীদ আব্দুর রব হল ড. এইচ এম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, শহীদ আব্দুর রব হল হাউজ টিউটর রমিজ আহমদ, শামসুন নাহার হলের হাউজ টিউটর সাকিলা তাসমিন, আলাওল হলের সিনিয়র হাউজ টিউটর ঝুলন ধর, খালেদা জিয়া হলের হাউজ টিউটর শাহ আলম, নাসরিন আক্তার ও উম্মে হাবিবা এবং আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো ওমর ফারুক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদত্যাগকারীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন, শিক্ষা, পরিবহনসহ নানা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে এসেছিলাম আমরা। কিন্ত উপাচার্যের সহযোগিতার অভাবে এসব কাজ ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে আমরা পদত্যাগ করেছি।’
রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদ বলেন,’ আমি ১৬ জনের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। তারা সবাই ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘নতুন প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছি আমরা। অন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রক্টরিয়াল বডি টাকা দিয়ে ছাত্রদের মারার জন্য লোক নিয়োগ দিয়েছে। এসব কারণেই তারা পদত্যাগ করেছে।’
নতুন প্রক্টর ড. মো. নূরুল আজিম
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস-এর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো নূরুল আজিম সিকদার। তিনি বলেন, ‘আজ দুপুর আড়াইটায় নিয়োগপত্র পেয়েছি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই।’