আদালত বাদীকে বিয়ে ও সন্তানের পিতৃ পরিচয় মেনে নেওয়ার শর্তে মো. আল-আমিন (২৬) নামের আসামির জামিন দিয়েছেন । আজ রোববার ঢাকার-৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আল-মামুন এই আদেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, চার বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আল আমিন বাদীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। গত বছর এপ্রিল মাসে বাদী তার বড় বোনের বাসা মতিঝিলের দক্ষিণ কমলাপুরে আসেন। গত বছর ১২ এপ্রিল বেড়ানোর কথা বলে আল-আমিন তাকে একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে বাদী বিয়ে চাপ দিলে আল-আমিন টালবাহানা শুরু করে। গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করবে জানিয়ে ভিকটিমকে ঢাকা আসতে বলেন। তিনি ঢাকা এসে বোনের বাসায় ওঠেন। এদিকে তার বোনের স্বামী অসুস্থ হয়ে মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেই সুযোগে বাসায় এসে আল-আমিন তাকে ধর্ষণ করেন। তখন ভিকটিম ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভিকটিম বিয়ের কথা বললে আল-আমিন জানিয়ে দেয়- তাকে বিয়ে করবে না। তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন।
পরে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল থানায় ২৭ বছরের ওই তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি। মামলাটি তদন্ত করে গত ২৯ মে আল-আমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মতিঝিল থানার সাব-ইন্সপেক্টর জহুরুল ইসলাম।
গত ১৮ জুন আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল আজ শুনানির দিন ধার্য করেন। এদিন আল-আমিনকে আদালতে হাজির করা হয়। তারপক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রবিউল হোসাইন।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘আল-আমিন প্রায় ৯ মাস কারাগারে রয়েছেন। বাদীপক্ষের সঙ্গে মৌখিক আপোষ হয়েছে। বাদীকে বিয়ে করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আল-আমিন। বাচ্চার পিতৃ পরিচয়সহ সব ধরনের দায়িত্ব গ্রহণে ইচ্ছুক। বিয়ের শর্তে বা যেকোনো শর্তে তার জামিন চাই।’
শুনানি শেষে আদালত বিয়ের ও নবজাতকের পিতার পরিচয় দেওয়ার শর্তে আল-আমিনকে জামিন দেন। এদিকে শুনানিকালে সন্তানকে নিয়ে আদালতে হাজির হন মামলার বাদী।