বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার লড়াই প্রথম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারের পর মালদ্বীপের বিপক্ষে । এই ম্যাচে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে টুর্নামেন্টে টিকে রইল বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২০ বছর পর এল এই জয়।
আজ রোববার ব্যাঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে খেলার শুরুতেই মালদ্বীপকে চেপে ধরেন জামাল ভূঁইয়ারা। দুই মিনিটের মাথায় কর্নার পায় বাংলাদেশ। এরপর বেশ কয়েকবারই আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। আক্রমণে পিছিয়ে থাকলেও প্রথম গোলটি আদায় করে নেয় মালদ্বীপ। হাসান হাইসামের পাস এক সতীর্থের টোকায় চলে যায় হামজার কাছে। বাঁকানো শটে গোল আদায় করতে ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড। ঝাঁপিয়ে পড়েও রক্ষা করতে পারেননি বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
প্রথম গোল খাওয়ার পর কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের খেলা। তবে খেলায় ফিরে আসে দ্রুতই। ম্যাচের ৪২তম মিনিটে আসে কাঙ্খিত গোল। সোহেল রানার ক্রসে তপু হেড দিলে সেটি খুঁজে পায় রাকিবের মাথা। হেডেই মালদ্বীপের জালে বল জড়ান রাকিব। ১-১ সমতা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। কর্নার থেকে হেড করেন তপু। জটলার মধ্যে বল পান তারিক কাজী। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি এই ডিফেন্ডার। শেষ দিকে শেখ মোরসালিন আরও একটি গোল করলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ৯৩ ধাপ এগিয়ে থাকা লেবাননের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে হেরে সাফ মিশন শুরু করে হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। সেই ম্যাচে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত শক্তিশালী লেবাননকে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে ৮০তম মিনিটে ঘটে ছন্দপতন। রক্ষণের ভুলে গোল হজমের পর যোগ করা সময়ে আরো একটি গোল খায় বাংলাদেশ।