দৈনিক বাংলাবন্ধু

২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

দৈনিক বাংলাবন্ধু

শিরোনামঃ

উড়ছে কোটি কোটি টাকা চট্টগ্রামে মামলাবাণিজ্যে , নেপথ্যে নেতা-উকিলের বড় চক্র || অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে : প্রধান উপদেষ্টা || উপদেষ্টা আসিফ ভারতকেই শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার কথা বললেন || ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ঘটবে জিম্মিরা মুক্ত না হল:ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি || এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয় ভারতকে বুঝতে হবে: আসিফ নজরুল || আ.লীগের যেসব নেতা কারাগারে ফারুক-রাজ্জাকসহ || ইয়াবাসহ দুইজন গ্রেপ্তার অক্সিজেন ও বালুছড়া থেকে || অল্পের জন্য রক্ষা পেল এয়ার এরাবিয়ার ১৯৮ যাত্রী চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে || পাইলটের মৃত্যু প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত,কর্ণফুলীতে || ভারত তিস্তা প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী || ধর্ষণ বিয়ের প্রলোভনে, ৯ বছর পলাতক থাকার পর মীরসরাইয়ে ধরা || ডেভিড মিল নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন চলে যাচ্ছেন পিটার হাস || ড. ইউনূসকে আপিল করতে হবে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে || পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল ভারতে কৃষকদের দিল্লি চল যাত্রায় || ১৪৪ ধারা ভাঙবে ১০ জন মিছিল করে || সংশয় ভয় দেখিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে || একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি || ইসরাইলি হামলায় নিহত ২৮,৪৭৩ গাজায় || আজ ভালোবাসার দিন ,আজ বসন্ত || ‘পুড়িও না, পড়’ কর্মসূচিতে কুরআন বিতরণ নেদারল্যান্ডসে ||
জাতীয় প্রশাসন

নাম প্রকাশে নীরব নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে সরব

‘৪৮ নদীর দখল, দূষণ ও নাব্য নিয়ে সমীক্ষা প্রতিবেদনে কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়নি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান (এনআরসিসি)মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন। জেলা প্রশাসকরা যাচাই-বাছাই করার পর চূড়ান্ত ও সঠিক প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’ আজ বুধবার রাজধানীতে নদী রক্ষা কমিশনের কেন্দ্রীয় দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘কিছু দখলদার ‘ক্ষমতা দেখিয়ে’ সমীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাচ্ছে। সেসব দখলদারকে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।” তবে তাদের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান।

মনজুর আহমেদ বলেন, ‘৩৭ হাজার দখলদারের তথ্য নদী রক্ষা কমিশন মুছে দিয়েছে বলে যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ৪৮ নদীর সমীক্ষা তিন বছরের প্রকল্প ছিল। তবে সময় বাড়িয়ে পাঁচ করার পর গত বছরের ডিসেম্বরে সমীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। এখনও ওই প্রকল্প সমীক্ষার প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়নি। তাহলে মুছে দেওয়ার কথা আসছে কেন? সারাদেশে ৫৭ হাজার নদী দখলদারের তালিকা তাঁদের কাছে আছে।’

তথ্য মুছে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করলেও দীর্ঘদিন ধরে চলা সমীক্ষায় ত্রুটি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কমিশন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটিতে অনেক ভুলত্রুটি রয়েছে। আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়, ডিসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আরও বিশ্নেষণের পরই তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।’

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে সিএস রেকর্ডের ভিত্তিতে অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। প্রকল্পে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে পানি আইন ২০১৩-এর ভিত্তিতে। এতে প্রকল্পে চিহ্নিত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের নাম ও তালিকা কমিশনে দেওয়া প্রতিবেদনে এবং ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এ কারণে এটি প্রকাশ করা হয়নি।’

প্রতিবেদনে কী ধরনের ত্রুটি ধরা পড়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আড়িয়াল খাঁ নদীর তিন ভাগের এক ভাগ সমীক্ষা না করে প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেওয়া হয়েছে। এরকম আরও নদীর ক্ষেত্রেও হয়েছে। আবার দেখা গেল- দখলদার হলো সাইফুল ইসলাম; কিন্তু নাম দেওয়া হলো গোলাপের। এখানে অন্য উদ্দেশ্য আছে। এরকম ৩৯টি বড় ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে।’

LEAVE A RESPONSE

Your email address will not be published. Required fields are marked *