![](http://dainik.banglabandhu.com/wp-content/uploads/2023/06/Reza_Nur.png)
সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের সমর্থকরা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। এই প্রস্তাব-সংক্রান্ত চিঠিতে ১২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির ৮৪ জন স্বাক্ষর করেছেন। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে থাকলেও রাশেদ খান ও নুরুল হক নুর স্বাক্ষর করেনি।
আজ রোববার এই অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি ড. রেজা কিবরিয়ার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ। তিনি জানান, গত শুক্রবারের বৈঠকে ১২১ জনের মধ্যে ৮৭ জন ড. রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পক্ষে একমত পোষণ করেন। এর মধ্যে আজ ৮৪ জন স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি ডা. রেজা কিবরিয়ার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আমরা গণ অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনি গণ অধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্র, ঘোষণাপত্র ও ২১ দফা কর্মসূচির সাথে সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন, যা আমাদের পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এছাড়া আপনাকে গণঅধিকার পরিষদের নিয়মিত কর্মকাণ্ডেও পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমরা আপনার বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্রের ধারা ৩৮-এর ক্ষমতাবলে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চাচ্ছি।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘আপনাকে আমরা এই চিঠিপ্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সভা ডেকে উল্লেখিত অভিযোগের ব্যাখ্যা দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় গণ অধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্রের ধারা ৩৯(ঘ)এর ক্ষমতাবলে তলবি সভা ডেকে আপনার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পৃষ্ঠা ২ ও পৃষ্ঠা ৩-এ গঠনতন্ত্রের ধারা ৩৮-এর শর্ত অনুযায়ী দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষর সংযুক্ত করা হলো।’
সম্প্রতি গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে রেজা কিবরিয়া ছিলেন না। রেজা কিবরিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় রাশেদ খানকে। একই সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে দলের কাউন্সিল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এরপর নুরকে বাদ দিয়ে নতুন সদস্যসচিবের নাম ঘোষণা দেন রেজা কিবরিয়া। তাদের সেই দ্বন্দ্ব এখনো চলছে।