![](http://dainik.banglabandhu.com/wp-content/uploads/2024/02/P-12-1-5-696x392-1.jpg)
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে চলমান সংঘাতে সীমান্তে । এতে বিজিবি সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করে মানবিক এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। গতকাল বুধবার সকালে ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং আশেপাশের বিজিবি ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের খোঁজ–খবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।
বিজিবি মহাপরিচালক মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং আহত অবস্থায় চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক দিক বিবেচনা করে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবেলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
সীমান্তে সংঘর্ষের জের ধরে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্ত অতিক্রম করে গুলি ও মর্টার শেল আসা এবং হতাহতের বিষয়টির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা চাই, এপারে যাতে গুলি পড়া শূন্যের কোটায় এসে পড়ে।
এদিকে গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কঙবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান বিজিবি মহাপরিচালক। এসময় তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন। পরে তিনি চিকিৎসাধীন বিজিপি সদস্যদের ফল উপহার দেন।
এসময় বিজিবি সদর দপ্তর, কঙবাজার রিজিয়ন, সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো, আরএমও ডা. আশিকুর রহমান, আরএমও প্রশাসন ডা. জিহাদুল হকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে আহত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৯ বিজিপি সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন কঙবাজার সদর হাসপাতালে আর বাকি চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।