![](http://dainik.banglabandhu.com/wp-content/uploads/2024/02/P-12-4-9-696x420-1.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন । গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জিআই পণ্য নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয় তিনটি জিআই পণ্য নিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশ করেছে। সেটা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। জিআই পণ্যগুলো হলো টাঙ্গাইলের শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগরকলা। খবর বাংলানিউজ ও বিডিনিউজের।
সচিব বলেন, তিনটি পণ্যের জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলোর কপি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অগৃত সাগরকলার জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভারত সরকারের টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই নির্দেশক পণ্য হিসেবে সনদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, এ ধরনের কনফ্লিক্টেড কিছু যদি থাকে, সেজন্য একটা আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে। এ ধরনের কিছু থাকলে আমরা সেখানে যেন সেগুলো উপস্থাপন করি, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিন পণ্যের জিআই সনদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে : টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও সচিব জাকিয়া সুলতানা গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রী পরিষদের সভার শুরুতে এই তিন পণ্যের জিআই সনদ সরকারপ্রধানের হাতে তুলে দেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) সম্প্রতি টাঙ্গাইলের শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগরকলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই স্বীকৃতির গেজেট প্রকাশ করে।
ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি’ বা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এর কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেট প্রশ্ন তোলেন শাড়ির ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা। এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।